1. |
Bondhu [বন্ধু]
06:59
|
|||
বন্ধুরে তোর লাগি আমার মনটা কেমন করে,
আয় বন্ধু দেখ একটা পাখি। আমার পাঁজরে।
আয় আয় আয় আয় ও, আইসো বন্ধু আমার পাশে বসিও।
বন্ধুরে তোর গোলা ভরা ধান, উঠান ভাসা চান্দের আলো,
আমি বাঁধি বেসুরে গান, তুই গাইলে আরো ভালো!
আয় আয় আয় আয় ও, আইসো বন্ধু আমার পাশে বসিও।
বন্ধুরে তোর চোখের কোনে, স্বপ্ন বান্ধে বাসা,
তুই আছিস তাই আমিও আছি, এইতো ভালোবাসা!
আয় আয় আয় আয় ও, আইসো বন্ধু আমার পাশে বসিও।
|
||||
2. |
||||
তোমার স্বপ্ন বহুদূর
পক্ষীকুলের মাতা তুমি তর্কে বহুদূর!
তোমার স্বপ্ন বহুদূর…
তোমার পদচিহ্ন নদীর বাঁকে গাছের ডালে ডালে
মাতৃরূপে লালন করো পালন এলেবেলে,
তোমার বিছিয়ে দেয়া আঁচল জুড়ে আনন্দ ভরপুর॥
তোমার চক্ষু ভরা সবুজ শস্য বক্ষে লাল আশা
তুমি পক্ষীকুলের মাতা ওগো নদীর বাঁকে বাসা
তুমি শাখে শাখে কচি পাতায় আবির রাঙ্গা ভোর॥
|
||||
3. |
||||
চান্দের আলো লাগে ভালো চাঁদনী পসর রাইতে,
বিহান বেলা লাগে ভালো পিঠাপুলি খাইতে!
আহারে আহারে! আহারে আমার!
শিশিরের ঘোমটা দেওয়া পৌষ মাস।
বন্ধু আমার নাইওর যাইবো মনে তাহার আঁশ রে
বন্ধু আমার দেশও যাইবো মনে তাহার আঁশ!
ভাপা পিঠার বাঁকা ধোয়া, তেলে গরম তেল পোয়া;
দুধে ভেজা দুধ চিতই আর খেজুর গুড়ে চিড়ার মোয়া!
শিশিরের ঘোমটা দেওয়া পৌষ মাস।
বন্ধু আমার নাইওর যাইবো মনে তাহার আঁশ রে
বন্ধু আমার দেশও যাইবো মনে তাহার আঁশ!
গ্রামের পথের কাঁচা মাটি ভিজা আছে তাই,
মাঘের ছাওয়াল আইলে পায়ে লাইগা থাকা চাই!
আরে পুকুর জলে তলে তলে রান্ধন হইল সারা;
জলের ধোঁয়া দেইখা সারস মাতায় দিছে পাড়া।
দেখো বাইন্ধা ঘন চুল;
শিশির আবার আইলো দিতে পরায় কানের দুল রে দেখো,
বাইন্ধা ঘন চুল; শিশির আবার আইলো দিতে পরায় কানের দুল!
|
||||
4. |
||||
তোমার এক হাতে দিবো টুকটুকে লাল বেলুন-
আর, অন্য হাতে সূঁচালো আলপিন।
খেলো তুমি যেমন ইচ্ছে - তোমার খেয়াল খুশি,
আমি আমার রাজ্যে তোমার জন্য-
হাজার বেলুন পুষি!
এসো, বসো আমার উঠানে...
বুক ভরে নাও শ্বাস।
শীতল পাটি বিছিয়ে দিবো-
তালপাখার বাতাস।
আমার হৃদয়পুরের শুক পাখিটা অসুখ নিয়েও হাসে,
খাঁচায় বন্দী জেনেও পাখি- বাসতে ভালবাসে।
তোমায় আকাশ দিলাম- বাতাস দিলাম-
মেঘকে দিলাম ডানা...
উড়ে বেড়াও যেথা খুশি কে করিলো মানা ?
উড়ো উড়ো মেঘ পাখি- যাও যেথা খুশি,
আমি তোমার জন্য পাঁজর জুড়ে- অচিন পাখি পুষি!
আমার মনের বনে ফুটলো যে ফুল ভুল ডালে তার বাসা,
হৃদয়পুরে বন্ধু তোমার- নিত্য যাওয়া আসা ।
তোমায় বন দিলাম- মন দিলাম-
ফুলকে দিলাম ডানা…
প্রজাপতি হলে তারে- কে করিবে মানা?
উড়ো উড়ো ফুলপতি- যাও যেথা খুশি
আমি তোমার জন্য আবার না হয়- হবো ফুল চাষী!
|
||||
5. |
||||
হলুদ ফুল, হলুদ ফুল,বিবাহের বাতাসে তুমি দোলো।
অচেনারে চিনবে বলে পাপড়িগুলো মেলো,
বিবাহের বাতাসে তুমি দোলো।
সবুজ পাতা তোমার সখি, সবুজ শাড়ি গায়,
পদ্ম কমল গড়ন তাহার, আলতা রাঙা পায়,
কে ছোপালো তোমার বসন, কনে দেখা আলোয়,
পাপড়িগুলো মেলো
হলুদ বাটো, মেন্দি বাটো বাটো ফুলের মৌ,
ফুল কুমারীর বিয়ে হবে, সাজবে হলুদ বউ।
ঘরের কোণে হলুদ পাখি কুটুম কুটুম ডাকে,
আতর, চন্দন,লোবান,মধু তোমার বাঁকে বাঁকে।
কে বাজালো ভালোবাসি; ভালো বাশি বাজে ভালো!
পাপড়িগুলো মেলো। বিবাহের বাতাসে তুমি দোলো।
|
||||
6. |
||||
রসিক যে জন প্রেম-জোয়ারে রসের তরী বায়।
তারা জোয়ার-ভাটার খবর লইয়া সন্ধানে তরী চালায়॥
প্রেম তলা হয় প্রেমের ছানা,
লোভী -পাপী যাইতে মানা,
সাধু ভাইরা বাইয়া যাও।
ও যার নিতাইগঞ্জে দালান ভরা,
সহজ-প্রেমে বোঝাই করা,
ঠেকি শেষে দায়।
ও সে হাঁটতে হাঁটতে এই বেলাতে প্রেমের হাটে পৌঁছে যায়॥
গোঁসাই বনমালী বলে,
মাঝির সনে প্রণয় হইলে তবে পাওয়া যায়।
তখন মহাজনের ষোলআনা, ঠেকাবি নিকাশের দায়॥
|
||||
7. |
Chondoni [চন্দনী]
08:20
|
|||
চন্দনী, মাটিতে নামিয়া আইসো
চন্দনী, আমার গায়েতে বইসো
আইসো গো, আইসো গো, আইসো গো,
আইসো গো ,চন্দনি, মাটিতে নামিয়া আইসো
বাটা ভরা পান দেব, বাটা ভরা পান…
উদলা উঠান দেব, উদলা উঠান…
বাটা ভরা পান দেব,কানে মোতির দুল,
উদলা উঠান দেব, রাইতে ফোটা ফুল..
আলতা রাঙ্গায়া দেবো তোমার পায়,
আলতা রাঙ্গায়া দেবো তোমার পায়…
আয় আয় আয়
আয় চন্দনী আয়
সজনী গো, ও সজনী!
রাত দুপুরে, পথে পথে,
বাজিয়ে রুমঝুম নুপুর ধ্বনি!
কে যায়, কে যায়!
তার রুমঝুম নুপুর ধ্বনি ঐ শোনা যায়!
রজনী পোহাইয়া যাইও না এ ভরা বাঁকে,
রজনী পোহাইয়া যাইও না এ ভরা বাঁকে,
থাকো তুমি আর কিছুক্ষণ,
ভাসো তুমি আর কিছুক্ষণ
এ পোড়া বুকে!
|
||||
8. |
||||
এমন যদি হতো- আমি একটা পাখি !
পাখির চোখে দেখি– আকাশ-মাঠ
আধাঁর কেটে ভোর
সূর্য উঠে রাঙা–
বন্ধু, আমি পাখি হলেও
আমার একটা ডানা ভাঙ্গা ॥ …আহারে-
স্বপ্নগুলো স্বপ্ন হয়েই রয়
এক জীবনে-কি আর এমন হয় ! …আহারে-
আমি একটা পাখি সাদাকালোয় আঁকি-
বাঁকা দুই ডানা আর মায়াভরা চোখ
খোলা হাওয়ায় উড়ে উড়ে–
ভাসাই পালক বুক ….আহারে-
দেখি তোমার মুখ….. আহারে-
এমন যদি হতো- আমি একটা পাখি !
|
||||
9. |
||||
মানুষ ভাবিতে কি দোষ, তুই আর কতকাল বেহুশ
আর কতকাল বেহুশ থাকবি, মানুষ বেহুশ থাকবি
মানুষ বেহুশ থাকবি…
সোনার দেশে হাজার শকুন, হাজার শকুন দিচ্ছে গা ঝাড়া
তুই একবার শুধু শক্তি; শক্তি দিয়ে সাহস করে দাঁড়া।
সাহস করে দাঁড়া..
মানুষ বলিতে কি দোষ, তুই আর কতকাল মুখোশ
আর কতকাল আড়ালে থাকবি, মানুষ আড়ালে থাকবি
মানুষ আড়ালে থাকবি…
সোনার দেশে অসংখ্য কীট, অসংখ্য কীট খাচ্ছে যে মাথা;
তুই একবার শুধু শক্তি; শক্তি দিয়ে সাহস করে দাঁড়া!
সাহস করে দাঁড়া…
একবার সাহস করে দাঁড়া, ভাঙবে গলদের গোঁড়া
একবার সাহস করে দাঁড়া, মানুষ সাহস করে দাঁড়া !
ভেঙে যায় স্বপ্ন আমার, মিছে হয় অতীত
পেছনের পথ ঘুণপোকা খায়, আমরা শুধুই পথিক
মুখোশে বীর বীরের মুখোশ, মুখোশে বীর বেহুশ
বেহুশ শরীর ঘুণপোকা খায়, আকাশে রঙিন ফানুস
।
স্বপ্ন দেখিতে কি দোষ, তুই আর কতকাল ফানুস!
আর কতকাল আকাশে উড়বি; মানুষ আকাশে উড়বি
মানুষ আকাশে উড়বি…
সোনার দেশে অসংখ্য কীট, অসংখ্য কীট খাচ্ছে যে মাথা,
তুই একবার শুধু শক্তি, শক্তি দিয়ে সাহস করে দাঁড়া!
সাহস করে দাঁড়া…
একবার সাহস করে দাঁড়া, ভাঙবে গলদের গোঁড়া
একবার সাহস করে দাঁড়া, মানুষ সাহস করে দাঁড়া!
সাহস করে দাঁড়া…
মানুষ তুই ভাঙবি ,তুই আকাশে উড়বি
তুই জলে ভাসবে, তোর কাছে পৃথিবী থাকবে নিরাপদ, তোর কাছে সমস্ত প্রাণিকুল থাকবে নিরাপদ
তুই মুখোশের আড়ালে নয়, মুখোশ খুলে বীরের বেশে সামনে চলে আসবি
তুই মুখোশ খুলে বীরের বেশে সামনে চলে আসবি
মুখোশ খুলে বীরের বেশে সামনে চলে আসবি...
|
||||
10. |
Ghungur [ঘুঙ্গুর]
06:55
|
|||
ঘুঙ্গুর... রুমঝুম... ঘুঙ্গুর... রুমঝুম…
ঘুঙ্গুর... রুমঝুম... রুমঝুম... রুমঝুম... রুমঝুম...
তুমি ঘুঙ্গুর পরিয়া-
তুমি ঘুঙ্গুর পরিয়া নাচো -আমার গায়,
তুমি ঘুঙ্গুর পরিয়া!
কে বা দোষী? নাচে যে জন?
নাকি যে জন নাচায়?
ঘুঙ্গুর পরিয়া নাচো- আমার গায়...
চেনে যে জন কাঁচা সোনা।
সেই কানা চান তো মন বোঝেনা!
রসিক যে জন- রসে ডুবে,
ফুলের ঘরে তার আনাগোনা!
ঘুঙ্গুর পরিয়া নাচো আমার গায়...
কেউ একলা রাতে কেউ দোকলা সাথে,
জোছনা চুরি করে জোনাক জ্বালায়।
অসুখ যেজন- সুখের খোঁজে,
আনন্দবাজারে তার আনাগোনা!
ঘুঙ্গুর পরিয়া নাচো আমার গায়...
কেউ বা রাজা কেউ ভিখারি সাজে,
মুখটা আড়াল করে মুখোশ বানায়!
গাতক যে জন- চাতক রূপে
মেঘের সনে তার চেনাশোনা!
ঘুঙ্গুর পরিয়া নাচো আমার গায়...
|
||||
11. |
Shunno [শূন্য]
08:43
|
|||
শূন্যতেই আছিরে আমি শূন্যতেই আছি,
শূন্যতেই আছিরে আমি শূন্যতায় বাঁচি।
শূন্যে ঘুমাই শূন্যে জাগি , শূন্যে ঘুমাই শূন্যে জাগি
শূন্যে বাঁধি ঘর, শুন্য শুন্য ফুলে গাথি শুন্য এক বাসর।
শুন্যতেই জন্ম আমার শুন্যতেই কবর,
শূণ্যেরও মাঝারে এই আনন্দের আসর।
তাই শূন্যতেই আছিরে আমি শূন্যতেই আছি,
শূন্যতেই আছিরে আমি শূন্যতায় বাঁচি।
শুন্য শুন্য শতেক শুন্য হাজার লক্ষ কোটি,
শুন্য শুন্য শতেক শুন্য হাজার লক্ষ কোটি,
জগতও ভ্রমিয়া দেখি শূন্যতাই যে খুঁটিরে আমার শূন্যতাই যে খুঁটি।
|
||||
12. |
Jibonanondo [জীবনানন্দ]
13:41
|
|||
আমি আবার জলে ভাসি;
বারে বারে ফিরে আসি রে
তোর পদ্ম দীঘির গাঁয়!
আমি আসি; আমি ভাসি;
আর, আনন্দে কাটি ডুবসাঁতার !
ডালে ডালে বান্ধি বাসা
পাতায় পাতায় ঘর
মেঘের ভেলায় পাড়ি দেবো
গহীন তেপান্তর॥
সুখের সুতায় গাঁথি মালা
আগুনে পুড়িয়ে ছাই
অথৈ জলে নেমেছি বন্ধু
কুল কিনারা নাই॥
|
Joler Gaan Dhaka, Bangladesh
We have started our music career in 2006. Since then we are performing around the country and beyond the boundary as well. We compose our song using all acoustic instruments and unique composition that influenced by traditional and contemporary music notes from around the globe. ... more
Streaming and Download help
If you like Joler Gaan, you may also like: